স্বাধীনতা,
অনন্তকাল তোমার অপেক্ষায় অপেক্ষমাণ ছিলাম আমি,
শুধু আমি নই–
তোমার অপেক্ষায় অপেক্ষমাণ ছিল
মা’র শরীরে বাড়ন্ত নবজাতক,
যে নিজেই নিজের নাম রেখেছিল
তোমার নামে।
তোমার জন্য অপেক্ষমাণ ছিল
আমার পালিত সাদা পায়রা গুলো,
যারা তোমার অস্তিত্ব জানান দেওয়ার জন্য
হাপিত্যেশ করছিল।
তোমার অপেক্ষায় অপেক্ষমান ছিল
আমার জিহ্বা অগ্র তালু মধ্য তালু ও স্বরতন্ত্রী।
যারা তোমার অস্তিত্ব প্রতিধ্বনিত করার জন্য
উৎসুক ছিল ।
তোমার অপেক্ষায় অপেক্ষমান ছিল
লাশের স্তূপ এ পরে থাকা এক কিশোরের নিথর দেহ
যার বুকে কতগুলো গুলির চিহ্ন ছিল ।
কান রাখলাম গেঞ্জিতে রক্ত মাখা সেই বুকের উপরে
তখন তার শরীর উষ্ণ ছিল
বুকের বা পাশে কোন শব্দ ছিল না ।
তবুও সে আমাকে যেন কিছু বলছে-
তার হৃদয়ের কথা আমার কণ্ঠে ধ্বনিত হোক-
“স্বাধীনতা তুমি আমার প্রাণের স্পন্দন।”