সবে মাত্র ভার্সিটি এডমিশন পরিক্ষা দিয়েছি, ভর্তি যুদ্ধের জন্য একটানা পড়া-লেখা করে বেশ হাপিয়ে উঠেছিলাম। ক্লাস শুরু হতে কিছু দিন দেরি আছে সেই সুজুগে ব্যাগ গুছিয়ে চলে গেলাম সিলেট। বড় খালামনির বাসায়। রাতুল ও রাহিন আমার...
সেদিন রাতের জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না
খুব নম্র-ভদ্র ও চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে ফারিহা। পড়ালেখায় ও বেশ ভালো। এবার ক্লাস টুয়েলভে পড়ে, সামনে এইচ এস সি পরীক্ষা দিবে। সারাদিন ক্লাস,কোচিং আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা,হৈ হুল্লোড় নিয়েই মেতে থাকে। ক্লাসের ফাঁকে একটু বিরতি...
রহস্যময় বটগাছ
রহস্যময় গল্প ছেলে হিসেবে খারাপ ছিল না আদিব। নম্র-ভদ্র,সহজ-সরল ও বেশ শান্ত প্রকৃতির ছেলে ছিল, পড়ালেখায় ও অনেক ভালো। গ্রামের লোকজন থেকে শুরু করে আত্মীয় স্বজন ও স্কুলের শিক্ষক, সবারই প্রিয় ছিল আদিব। হঠাৎ করেই পাল্টে যায়...
হারাতে দেবো না তোকে
গ্রামের সহজ-সরল মেয়ে ঈশিকা। ছোটবেলা থেকেই বাবার কাছে মানুষ। জন্মের কিছুদিন পর পরই মা মারা যায়। ভাই-বোন বলতে কেউ নেই, বাবা ও মেয়ের মাঝে। সংসারের অশান্তি ও মেয়ের কথা চিন্তা করেই রাজ্জাক সাহেব দ্বিতীয় বিয়ের কথা আর ভাবেননি...
তোমার কাছে শেষ চিঠি
প্রিয় রিহান, কেমন আছো আজ আর তা জানতে চাইবো না ,হয়তো ভালো আছো, খুব সুখেই আছো। অনেক দিন পর আজ আবার লিখছি তোমায় নিয়ে। এটিই হয়তো তোমাকে লিখা আমার শেষ চিঠি। কত কথা, কত স্মৃতি, কত স্বপ্ন ছিল আমাদের।কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম ...
হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা
অবনী কে দেখেই বেশ বড় সড় একটা ধাক্কা খেলাম। নীল শাড়ীতে আজ অবনীকে অপরূপ দেখতে লাগছে। হাতে কাঁচের চুড়ি, কপালে লাল টিপ আর খোঁপায় সাদা বেলি ফুলের মালা অসম্ভব সুন্দর এক মায়াবী চেহারা মেয়েটার। অবনীকে দেখলেই বুকের ভেতরটা কেমন...
পাগলী বউ (পর্ব – ০৪)
পাগলী বউ (পর্ব – ০৪) বিয়ে শেষে বউ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে….. ছেলে: টিসু টা দিয়ে চোখ মছো, আর কান্না করতে হবে না। মেয়ে: হুম…….. _ কষ্ট পেয়োনা, ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে। _ হুম……. _ তুমি তো...
পাগলী বউ (পর্ব – ০৩)
পাগলী বউ বিয়ের দিন সকালে ফেইসবুক মেসেঞ্জার চ্যাট মেয়ে: গুড মর্নিং জানু! ছেলে: গুড মর্নিং, কেমন আছো? _ ভালো আছি! তুমি এখনো ঘুম থেকে উঠোনি কনো? _ আমি উঠে গেছি তো। _ কোই, আমি দেখতে পাচ্ছি তুমি এখনো শুয়ে আছো। _ আরে ঘুম থেকে...
দিনটা ছিলো মেঘলা আকাশ
এফ এম রেডিও শোনা আমার নিয়মিত অভ্যাস। আমার কাছে সকালে ঘুম থেকে উটে এফ এম রেডিও শুনতে না পারা আর চিনি ছারা চা খাওয়া একই কথা। সে দিন প্রথমবারের মতো RJ নিরঝর এর অপর আমার খুব রগ হয়েছিলো, ভাবছিলাম পরিষেশে আমিকিনা ওর ওবৈধ...
ভালো থেকো “আলিবাবা”
ফেইসবুক এ আমি তাকে “আলিবাবা” বলেই ডাকি, আসলে তার নাম নীলা! নীলা কিভাবে যে আমার ফেইসবুক ফ্রেন্ড লিষ্ট এ চলে আসছিলো তা আমি জানিনা। আর তা জানার চেষ্টাও করিনি, মাঝে মাঝে ওর পোষ্টে লাইক দিতাম কিন্তু কোনো কমেন্ট...
পাগলী বউ (পর্ব – ০২)
পাগলী বউ বিয়ের আগের দিন রাতে ছেলে: হ্যালো, রুপতী? মেয়ে: না! আমি তোমার বউ, কখন থেকে ফোন দিচ্ছি, কোথায় ছিলা? _ হাতে একটু মেহেদী দিছিলাম, এখন হাত ধুয়ে আসলাম। _ ধুয়ে আসলে কেনো? ওভাবেই থাকতে! _ হুম, হাত নাধুয়ে এভাবেই বসে...
পাগলী বউ (পর্ব – ০১)
পাগলী বউ বিয়ের কিছুদিন আগে। ছেলে: এতো জরুলী ডাকেছো কেনো বলো? মেয়ে: একটা থাপ্পড় খাবি! আগে তো জিজ্ঞাস করো আমি কেমন আছি? কাঁদো কাঁদো মুখ করে কেনো বসে আছি। _ এইযে কানে ধরছি, আমার অনেক বড়ো ভুল হয়েছে। সত্যি তো মুখু শুখিয়ে বসে...
সেদিন দেখা হয়েছিল
পৃথিবীটা গোল তাই অরিন এর সাথে দেখা হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক, কিন্তু এভাবে দেখা হয়ওয়াটা প্রায়শই অস্বাভাবিক যেন মনে হচ্ছে এই প্রথম কোনো মেয়ে কে দেখছি । দীর্ঘ ৫ বছর পর অরিন কে নিয়ে আর ও একটা নতুন গল্প আমার স্মৃতির পাতা ভারী...
আমি সেই সাহেল
প্রিয় তিথি, আমি সাহেল, আমি সেই সাহেল যে প্রতিদিন তোমার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। আমি সেই সাহেল যাকে দেখলেই তোমার চোখ-মুখ রাগে কুঁচকে যায়। আমি ধরেই নিলাম আমাকে নিয়ে তোমার মনে কিছু প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে, আর তার উত্তর...
তুমি একটুতো কথা বলো
তুমি একটুতো কথা বলো, আমার সাথে! তোমার প্রাণ মাখা হাসি, বাঁকা চোখের চাহনি আজও যত্ন করে রেখেছি আমার মাঝে। তুমি একটুতো কথা বলো, আমার সাথে! তোমার কত অভিমান মুছেছি এহাতে, কতইনা রাগ সরিয়েছি বুকে জড়িয়ে। স্পর্শে এসেছি কাছে, আপন...
সেলিম ও সিগারেট
ক্লাস শেষ, স্যার চলে যেতেই আমি উঠে গিয়ে সেলিমের কাছে বসলাম। ওর গা থেকে সিগারেটের বাজে গন্ধ আসছিলো, মনে হচ্ছে এইমাত্র সিগারেট করে শেষ করেছে। সেলিম, আমার সব থেকে কাছের বন্ধু! আমরা একসাথে প্রাইমারি, স্কুল, আর এখন কলেজে ও...
একপায়ে দাঁড়িয়ে
বিংশ শতাব্দীতে প্রেম করাটা সহজ বিষয় ছিলোনা! মেয়েদের ক্ষেত্রে আরও ভয়ংকর যদি তা হয় অসম! মেয়েটি তখন রংপুরে ইংলিশ সাহিত্য নিয়ে পড়তে এসেছে! আর ছেলেটিকে দেখা যেতো রাস্তার মোড়ে,ডিপার্টমেন্টের সামনে, বান্ধবীদের আড্ডার পাশে...
তোমার হাতটা একটু ধরতে পারি?
আজ আবিদ এর মন অনেক খারাপ, কারণ আজ আবিদ তার গার্লফ্রেইন্ড এর সাথে শেষ বারের জন্য দেখা করতে যাচ্ছে। ”কিয়া” আবিদ এর গার্লফ্রেইন্ড, ওদের রিলেশনশিপ প্রায় তিন বছরের। কিন্তু কেয়ার বাবা কেয়ার বিয়ে অন্য কোথাও ঠিক...
আমি কি ভালোবাসি?
আমি ভীত অন্ধকারে, তবুও রাত ভালোবাসি। আমি দুর্বল কাজে, তবুও কর্ম ভালোবাসি। আমি ক্লান্ত চলতে, তবুও পথ ভালোবাসি। আমি ব্যথিত কষ্টে, তবুও কষ্ট ভালোবাসি। আমি বোকা কিছু বুঝিনা, তবুও বুঝতে ভালোবাসি। আমি বিরক্তিকর বেশি বাকি...
এটাই ছিল তার শেষ কথা
আমার নাম রাহেল, আমি ঢাকায় থাকি। ঋতিকা সাথে আমার পরিচয়টা কিভাবে হয়েছিল তা আমি প্রায় ভুলেই গেছি, আমি যখন ক্লাস সিক্স এ পড়ি তখন ঋতিকা ও তার পরিবার আমাদের পাড়ায় আসে, ওদের দেশের বাড়ি রাজশাহীতে, এখানে ওর বাবা একটা চাকুরী নিয়ে...
সেদিন চোখে জল ছিলনা
সেদিন অবাধ্যের মতো তোমাকে অন্যের হাতে তুলে দেয়া ছাড়া কিছু করার ছিলোনা | আমি বাধ্য ছিলাম তোমাকে অন্যের হাতে তুলে দিতে কারন আমি তোমাকে ভালবাসি। আমি বাধ্য ছিলাম চোখের সামনে দিয়ে অন্যের হাত ধরে তেমার চলে যাওয়া দেখতে কারন...
ভালোবাসি, বলতে পারিনি
কিবা আসতো যেতো যদি বলতাম আমি তোকে ভালবাসি? হয়তো দূরে সরে যেতি, হয়তো কখনো কথা বলতি না, এতোটুকুইতো! তবুও ভালো হতো অন্ততো আজ ১০টি বছর তোকে ভালবসার কথাটা বলতে না পারার ব্যাথা বুকে বয়ে নিয়ে ঘুরতে হতোনা | বন্ধুত্তের দোহায়...
শেষ বার যখন এসেছিলাম
শেষ বার যখন এসেছিলাম হারিয়ে যাওয়া ছেলেবেলাকে খুজতে কিছুই আর আগের মত পায়নি শুধু গ্রামের এই স্কুলটা ছাড়া | উন্নয়নের ধারা গ্রামের মধ্যে বয়ে গেলেও ও স্কুলটা যেন কারো চোখে পরেনি তাই হয়তো আগের মতই রয়ে গেছে | এই স্কুলটার কথা...
অরিত্রির ছেলেবেলা
নাম টা বেশ ভালো, শুনে মনে হয় কোন এক আভিজ্যাত্য পরিবারে জম্ন। সবার দেয়া নাম তো তাই হয়তো এমন। যেন সবাই যাচাই বাছাই করেই নামটা রেখেছে। অরিত্রির সাথে ছোট্ট একটা সংলাপ হয়েছিল আমার, নাম টা কে দিয়েছে জানতে চাইলে উঠে আসে তার...