নতুন আই.ডি খোলার পর থেকেই একের পর এক ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট আসতে থাকে নীলিমার আই.ডি তে। তেমনি “আলোহীন ল্যামপোস্ট” নামের একটি আই.ডি থেকেও ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট আসে। নীলিমা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট টা এক্সসেপ্ট করে। নীলিমা জানতো না যে ওটা কোনো ছেলের নাকি মেয়ের আই.ডি। তবে আই.ডি টি থেকে করা পোস্ট গুলো দেখে মনে হতো একটা ছেলে। নীলিমা ঐ আই.ডির মানুষ টির সাথে কথা বলতো না। কিন্তু তার করা পোস্ট গুলো নীলিমার খুবই ভালো লাগতো। সে সুন্দর সুন্দর কিছু ছবির সাথে কবিতার মতো করে লেখে লেখে পোস্ট করতো। আর কবিতা গুলো লিখতো “প্রেয়সী” নামের কাউকে উদ্দেশ্য করে। যদিও লেখাগুলো থেকে বোঝা যেত প্রেয়সী একটা কাল্পনিক চরিত্র। কিন্তু নীলিমা সেই বিষয় টা নিশ্চিত ছিল না। নীলিমা ফেসবুকে গেলেই ঐ আই.ডির পোস্ট গুলো দেখতো।
একদিন নীলিমা ফেসবুকে গিয়েছে হঠাৎ আলোহীন ল্যামপোস্ট আই.ডি থেকে এস.এম.এস আসে।
– কেমন আছেন?
নীলিমা- ভালো আছি।
– আপনার নাম ক?
নীলিমা- আমার নাম দিয়েই তো আই.ডি খোলা আছে। কিন্তু আপনার নাম তো দেয়া নেই। তা আপনার নাম কি?
– আমার নাম পরে বলবো। আপনার বাসা কোথায়?
নীলিমা- বাংলাদেশের কোনো এক প্রান্তে। আপনার বাসা কোথায়?
– বুঝেছি আপনার বাসা কোথায় সেটা আমাকে বলতে চাচ্ছেন না। তাই আমিও বলবো না আমার বাসা কোথায়।
নীলিমা- ঠিক আছে বলতে হবে না।
তারপর নীলিমা ফেসবুকে থেকে বের হয়ে আসে। মাঝে মাঝে ফেসবুকে নীলিমা আর ঐ ছেলেটার ২-৩ টা এস.এম.এস এ কথা হতো। যদিও কেউ কারো সম্পর্কে কিছুই জানতো না। নীলিমা একদিন ওর এক ভাই নীরব কে ফেসবুকেই জিজ্ঞাসা করে যে, আলোহীন ল্যামপোস্ট আই.ডি টি কার তুই কি চিনিস?
নীরব- হ্যাঁ চিনি। ওর নাম প্রত্ত্যুষ। কেন কোনো সমস্যা হয়েছে নাকি?
নীলিমা- না কোনো সমস্যা হয়নি। আমার সাথে ফেসবুকে কথা বলে তাই জিজ্ঞাসা করলাম। প্রত্ত্যুষের বাড়ি কোথায়? প্রত্ত্যুষ কি করে?
নীরব- প্রত্ত্যুষের বাড়ি আমাদের এই দিকেই। আমাদের বাড়ি থেকে প্রত্ত্যুষের বাড়ি যেতে ১৫ মিনিটের মতো সময় লাগে। আর প্রত্ত্যুষ তোর সাথেই সেইম ইয়ারে পড়ে।
নীলিমা- ওহ আচ্ছা ঠিক আছে।
দুদিন পর নীলিমা ফেসবুকে প্রত্ত্যুষ কে অ্যাকটিভ দেখে এস.এম.এস করে।
নীলিমা- কেমন আছেন মি. প্রত্ত্যুষ?
প্রত্ত্যুষ- আপনি আমার নাম জানলেন কিভাবে?
নীলিমা- শুধু নামই নয় আপনার বাড়ি কোথায়, কিসে পড়েন সেটাও জানি।
প্রত্ত্যুষ- কিন্তু কিভাবে?
নীলিমা- নীরবকে চিনেন? নীরব আমার ভাই হয়।
প্রত্ত্যুষ- ওহ এবার সব বুঝলাম। তা আপনি কিসে পড়েন আর আপনার বাসা কোথায়?
নীলিমা সব বলে।
তারপর থেকে নীলিমা আর প্রত্ত্যুষ ভালো বন্ধু হয়ে যায়। প্রত্ত্যুষের সাথে কথা বলতে নীলিমার ভালো লাগতো। প্রত্ত্যুষ নীলিমাকে একদিন দেখা করার জন্য অনুরোধ করে। নীলিমা রাজি হয়। বলে, দেখা করতে চাইলে আগামীকাল সকাল ১০টায় আমার কলেজে আসতে হবে। দেরি হলে দেখা হবে না।
প্রত্ত্যুষ- একটুও দেরি হবে না আমি ঠিক সময়ে পৌঁছে যাব। প্রত্ত্যুষের এলাকা থেকে নীলিমার এলাকায় যেতে ২ঘন্টার মত সময় লাগে। তাই প্রত্ত্যুষ নীলিমার সাথে দেখা করতে যাওয়ার জন্য সকাল ৮টায় বাড়ি থেকে বের হয়।
বাড়ি থেকে বের হয়েই নীলিমাকে বলে- আমি বাড়ি থেকে বের হয়েছি তুমি কখন বের হবে?
নীলিমা- কলেজে যেতে আমার ১০-১৫ মিনিটের মত সময় লাগবে। তাই পরে বের হবো তুমি আসো।
প্রত্ত্যুষ- ঠিক আছে।
কিছুক্ষণ পর খুব বৃষ্টি শুরু হয়।
প্রত্ত্যুষ- তুমি কি বের হয়েছো বাড়ি থেকে?
নীলিমা- না বের হয়নি। খুব বৃষ্টি শুরু হয়েছে তো। তুমি কত দুর এসেছো?
প্রত্ত্যুষ- আমি মাঝ পথে।আজ বৃষ্টি থামবে বলে তো মনে হচ্ছে না।
নীলিমা- হ্যাঁ। এই বৃষ্টির মধ্যে আমি বের হবো কিভাবে?
প্রত্ত্যুষ- না তোমায় এই বৃষ্টির মধ্যে বের হতে হবে না। আমি বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।
নীলিমা- ঠিক আছে। কিন্তু আমার জন্য তুমি কষ্ট করে এতটা রাস্তা এসে বৃষ্টিতে ভিজে গেলে।
প্রত্ত্যুষ- ঠিক আছে কোনো ব্যাপার না। আজ না হলো অন্য একদিন দেখা করবো।
নীলিমা- ঠিক আছে।
কয়েকদিন পর প্রত্ত্যুষ নীলিমা কে অনুরোধ করে নীলিমার একটা ছবি প্রত্ত্যুষ কে পাঠানোর জন্য। নীলিমা প্রত্ত্যুষ কে একটা ছবি দেয়। প্রত্ত্যুষের কথা শুনে বোঝা যেত যে, প্রত্ত্যুষ নীলিমার প্রতি অনেক টাই দুবর্ল। কিন্তু নীলিমা মনে মনে ভাবতো প্রত্ত্যুষ যদি নীলিমাকে প্রোপোজ করে তাহলে নীলিমা প্রত্ত্যুষ কে বোঝাবে। যাতে প্রত্ত্যুষ এ ধরনের কথা না ভেবে ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক টাই রাখে। কারন নীলিমা ঠিক করেই রেখেছিল যে কখনো কারো সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়বে না। বাবা মা যার সাথে বিয়ে দিতে চাইবে তাকেই বিয়ে করবে। নীলিমা বুঝতে পারে যে, আস্তে আস্তে প্রত্ত্যুষের দুবর্লতা বেড়েই যাচ্ছে। কিন্তু নীলিমা সব সময় প্রত্ত্যুষ কে বোঝাতো যাতে নিজের দুবর্লতা কে বাড়তে না দেয়। প্রত্ত্যুষ নীলিমা কে খুব গুরুত্ব দিত। সব বন্ধুর থেকে আলাদা ভাবতো। কিন্তু নীলিমা চাইতো প্রত্ত্যুষ যাতে ওকে এতো গুরুত্ব না দেয়। অন্য বন্ধুদের মতোই একটা বন্ধু ভাবে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। প্রত্ত্যুষ কে হাজার বুঝিয়েও লাভ হতো না।
কিছু দিন পর প্রত্ত্যুষ নীলিমা কে প্রোপজ করে। নীলিমা প্রত্ত্যুষ কে অনেক বোঝায় যাতে এগুলো আর কখনো না বলে। নীলিমা বলে, আমরা যেমন বন্ধু আছি তেমন বন্ধুই থাকবো এর বেশি কিছু না। প্রত্ত্যুষ চেষ্টা করে নীলিমাকে বোঝানোর কিন্তু নীলিমা নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। নীলিমা প্রত্ত্যুষ কে বোঝাতে না পেরে প্রত্ত্যুষের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়।
কিছুদিন পর নীরবের সাথে নীলিমার দেখা হয়। নীরবকে নীলিমা প্রত্ত্যুষের কথা জিজ্ঞাসা করে। নীরব- প্রত্ত্যুষের পায়ে জন্ম থেকেই একটু সমস্যা আছে। নীলিমা ভাবে তাতে কি। একটা মানুষের তো একটু সমস্যা থাকতেই পারে।
কিন্তু নীলিমার খারাপ লাগে যে, প্রত্ত্যুষের সাথে এত ভালো বন্ধুত্ত্ব। প্রত্ত্যুষ তো সব কথাই বলতো তাহলে এই কথাটা কেন বলেনি। কয়েক দিন পর নীলিমা প্রত্ত্যুষের সাথে আবার কথা বলতে শুরু করে। নীলিমা নীরবের কাছে প্রত্ত্যুষের সমস্যার কথা শুনেছে সেটা প্রত্ত্যুষ কে জানায় না। নীলিমা চায় যে প্রত্ত্যুষ নিজেই ওকে জানাক। কাই নীলিমা অপেক্ষা করে।
কিছুদিন পর প্রত্ত্যুষ বলে, তোমাকে কিছু কথা বলার আছে।
নীলিমা- হ্যাঁ বলো।
প্রত্ত্যুষ- তোমার মত বন্ধু আমার আর কেউ নেই। তুমি আমার অনেক ভালো বন্ধু। বন্ধু হিসেবে তোমাকে অনেক ভালোবাসি। এটা ঠিক যে, তোমার প্রতি আমি অনেক টাই দুবর্ল। হয়তো তোমাকে সত্যি মন থেকে ভালোবাসি। কিন্তু আমার জীবনে তোমাকে কখনো চাইবো না। আমি তোমাকে এমনি প্রোপজ করেছিলাম। তুমি কি বলো সেটা জানতে চেয়েছিলাম। তুমি খুব ভালো। আমার এই অভিশপ্ত জীবনে কোনো মেয়ে কে এনে আমি তার জীবন টা নষ্ট করতে চাইনা।
নীলিমা- এগুলো বলছো কেন, অভিশপ্ত জীবন কেন হবে?
প্রত্ত্যুষ- সে অনেক কথা পরে বলবো।
নীলিমা- না এখনি বলো। যদি সত্যি আমাকে ভালো বন্ধু ভাবো তাহলে সবটা আমাকে বলো।
প্রত্ত্যুষ- তোমাকে যে কতটা ভালো বন্ধু ভাবি সেটা বলে বোঝাতে পারব না। ঠিক আছে তোমাকে সব বলবো। বাবা মায়ের বড় ছেলে আমি। জানি না কোন পাপের শাস্তি হিসেবে আল্লাহ জন্ম থেকেই আমার পায়ে সমস্যা দিয়েছেন। নিজেকে খুব ছোট আর অসহায় মনে হয়। লজ্জা করে তাই নিয়মিত কলেজেও যাই না। কারো সাথে মিশতেও খারাপ লাগে। কোনো মেয়ের সাথে বন্ধুত্ত্ব করা দুরের কথা মেয়েদের দেখলেই সেখান থেকে সরে যাই। শুধু তোমার সাথেই এত ভালো বন্ধুত্ত্ব হয়েছে। সবাই আমাকে অবহেলা করে। আমি সবার কাছে হাসির পাত্র। নিজের ওপর খুব রাগ হয়। কেন আমার জীবনটা এই রকম হলো। সমাজের কারো কাছে আমার মূল্য নেই। খুব অসহায় লাগে আমার। তোমাকে প্রথমেই এগুলো সব বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু ভয়ে বলতে পারিনি। ভয় হতো যে, এই সব শোনার পর তুমি যদি আমার সাথে কথা না বলো। তোমার সাথে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কারন ভেবেছিলাম এই কথাগুলো তোমাকে সামনা সামনি বলবো। আর আমাকে দেখলেই তুমি সবটা বুঝতে পারতে। কিন্তু দেখা তো হলো না তাই ফোনেই বললাম।
নীলিমা- এতদিন ধরে তো আমার সাথে কথা বলছো। তোমার কি মনে হয় যে, শুধু মাত্র এই সমস্যা আছে বলে আমি তোমার সাথে বন্ধুত্ত্ব রাখব না?
প্রত্ত্যুষ- না মনে হয় না। তাও একটু ভয় করতো।
নীলিমা- তোমার সমস্যার কথা আমি নীরবের কাছে আগেই শুনেছিলাম। কিন্তু তোমাকে কিছু বলিনি। কারন আমি চেয়েছিলাম আমি যদি তোমার ভালো বন্ধু হই তাহলে তুমি নিজেই আমাকে বলো। আল্লাহ কোনো মানুষ কেই স্বয়ং সম্পূর্ণ করে সৃষ্টি করে না। সবারই কোনো না কোনো সমস্যা থাকে। কারো শারিরিক, কারো মানসিক, কারো বা অন্য কিছু। আর মানুষের এই সমস্যা তার অপরাধ নয়। জীবনের প্রকৃত অর্থই হলো লড়াই করে বেঁচে থাকা। জীবনে যত বেশি সংগ্রাম করা যায় জীবনকে ততো বেশি উপলব্ধি করা যায়। সমস্যা আছে বলেই পিছিয়ে থাকলে চলবে না। সামনে এগিয়ে চলার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আত্মবিশ্বাস। আগে নিজেকে সম্মান করতে শেখো। তুমিই যদি নিজেকে সম্মান করতে না পারো তাহলে অন্যরা কিভাবে তোমাকে সম্মান করবে। নিজেকে মূল্যহীন না ভেবে মূল্যবান করে গড়ে তোলো। তবেই তো সমাজের কাছে মূল্যবান হবে।
নিজেকে এমন ভাবে গড়ে তোলো যাতে সবাই তোমাকে সম্মান করে। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করো। আজ যারা তোমাকে অবহেলা করে তাদেরকে দেখিয়ে দাও যে, তুমিও চাইলে অনেক কিছু করতে পারো। বরং চাইলে অন্যদের থেকে ভালো পারো। কোনো সময় নিজেকে ছোট বা অসহায় ভাববে না। নিজের জীবন টাকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলো। আর তোমার জীবনেও একদিন নিশ্চয়ই ভালো কেউ আসবে যে তোমাকে অনেক ভালো রাখবে।
প্রত্ত্যুষ- হ্যাঁ, আমি চেষ্টা করবো।
নীলিমা- শুধু চেষ্টা নয় তোমাকে পারতেই হবে। আগে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাও তবেই তো একদিন সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে পারবে।
প্রত্ত্যুষ- হ্যাঁ তুমি ঠিকি বলছো।
নীলিমা প্রত্ত্যুষ কে সাহস দিত অনেক বোঝাতো। প্রত্ত্যুষ নীলিমার কথা শুনতো।
হঠাৎ করেই নীলিমার মনে হয় যে, প্রত্ত্যুষ তো এমনি তে প্রথম থেকেই আমার প্রতি দুর্বল। এইভাবে কথা বলতে থাকলে আস্তে আস্তে প্রত্ত্যুষ আরো বেশি দুর্বল হয়ে পড়বে। আমি তো শুধু বন্ধুত্ত্ব ছাড়া অন্য কোনো সম্পর্ক তৈরি করতে পারবো না। এখন আমি প্রত্ত্যুষের সাথে কথা বলি ওর পাশে আছি তাতে প্রত্ত্যুষ ভালো আছে। কিন্তু প্রত্ত্যুষ কে এইভাবে ক্ষনিকের জন্য ভালো রাখতে গিয়ে ওকে যদি আরো বেশি কষ্ট দিয়ে ফেলি। এখন যদি প্রত্ত্যুষের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেই তাহলে প্রত্ত্যুষ ক্ষনিকের জন্য কষ্ট পাবে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে। আর যদি এভাবে কথা বলতেই থাকি তাহলে প্রত্ত্যুষের আকাঙ্ক্ষা, দুর্বলতা আরো বাড়বে। আর পরে গিয়ে প্রত্ত্যুষ আরো বেশি কষ্ট পাবে। তাই প্রত্ত্যুষের সাথে আর কথা না বলাটাই ভালো। ক্ষনিকের জন্য ভালো থাকতে গিয়ে পরে অনেক বেশি কষ্ট পাওয়ার থেকে এখনি একটু কষ্ট পাক। সময়ের সাথে সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে।
এরকম বিভিন্ন কথা ভেবে নীলিমা প্রত্ত্যুষের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। প্রত্ত্যুষ নীলিমা কে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে যাতে কথা বলা বন্ধ না করে। প্রত্ত্যুষ জানতে চায় যে, কি কারনে নীলিমা কথা বলা বন্ধ করে দিচ্ছে। কিন্তু নীলিমা নির্দিষ্ট কোনো কারন দেখাতে পারে না। নীলিমার ভাবনা গুলোও প্রত্ত্যুষ কে বুঝিয়ে বলতে পারে না। শুধু কথা বলা বন্ধ করে দেয়। প্রত্ত্যুষ অনেক বার নীলিমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করে কিন্তু নীলিমা কথা বলে না।
অনেকদিন পর প্রত্ত্যুষ কে ফেসবুকে অ্যাকটিভ দেখে নীলিমা নিজেই এস.এম.এস করে। প্রত্ত্যুষ অনুরোধ করে আগের মতোই বন্ধু হয়ে থাকতে। নীলিমা বলে- ঠিক আছে আমরা বন্ধু ছিলাম, বন্ধুই থাকবো। তবে এর বেশি কিছুই না।
বন্ধুত্ত্ব হয়তো এমনই। হাজার সমস্যা আসলেও প্রকৃত বন্ধুত্ত্ব কখনো শেষ হয়ে যায় না। দেখা হোক বা না হোক, কথা হোক বা না হোক, যত দুরেই থাকা যায় না কেন বন্ধু সব সময় বন্ধুই থাকে। বন্ধুত্ত্ব কখনো শেষ হয় না।