আজ আবিদ এর মন অনেক খারাপ, কারণ আজ আবিদ তার গার্লফ্রেইন্ড এর সাথে শেষ বারের জন্য দেখা করতে যাচ্ছে। ”কিয়া” আবিদ এর গার্লফ্রেইন্ড, ওদের রিলেশনশিপ প্রায় তিন বছরের। কিন্তু কেয়ার বাবা কেয়ার বিয়ে অন্য কোথাও ঠিক করেফেলেছে। আর কেয়াও তাতে রাজি। কারণ আবিদ এখনো বেকার। কেয়ার শেষ কথা রাখার জন্যই আবিদ এসেছে দেখা করতে। আবিদ মন খারাপ করে বসে আছে, তাই দেখে কেয়া আবিদ কে জিজ্ঞাস করলো
–তোমার মন খারাপ কেনো?
–কোই না তো, ভালোবাসার শেষ চিঠি পেয়েছি মন খারাপ হবে কেনো? তুমি ভুল ভাবছো।
–মন খারাপ করোনা আবিদ, তুমি আমার থেকেও আরো অনেক সুন্দরী আর ভালো মেয়েকে তোমার বউ হিসাবে পাবে।
–হুম, তা আমি জানি। তুমি আমার থেকেও সুন্দর আর ভালো কেউকে পেয়ে গেছো তাইনা?
–তাই তো, এই জন্যই তো তাড়াতাড়ি করে বিয়ে করে ফেলছি। তানাহলে যদি ওই সুন্দর আর ভালো মানুষটা হাত ছাড়া হয়ে যায়।
–হুম, আমি তো ভুল মানুষ, তা ঠিক মানুষটার হাত কবে ধরছো? মানে তোমার বিয়েটা জানি কবে?
–বিয়ের তারিখটা পরে যানাচ্ছি, তার আগে ভাবছি আজকেই হাতটা ধরবো।
–ও, তা আমাকে ডাকলে কেন? তার সাথে দেখা করলেই পড়তে!
–হুম, দেখা করবো তো, তার আগে ভাবলাম তোমাকে শেষ বিদায় টা দিয়েই যাই।
–ঠিক আছে, বিদায় দেওয়া তো শেষ। তোমার জীবন সুখ আর ভালোবাসা দিয়ে ভোরে থাকুক। তুমি ভালো থেকো, আমি গেলাম।
–কোথায় যাচ্ছ? এত তাড়াহুড়া করছো কেন? আমার কথা বলা এখনো শেষ হয়নি তো।
–তুমি কি চাইছো বোলো তো? আমি এখানে বসে বসে কান্না করি। তুমি কি বুঝতে পারছো না, আমার মনটা কান্নায় ফেটে পড়ছে, অনেক কোষ্ঠে চোখের জল লুকানোর চেষ্টা করছি। তাহলে কেন বার বার করে এই গুলো সোনাতচ্ছ? আমি তো বলেছি, আমি তোমার সুখের পথে কাঁটা হবোনা। তুমি ভালো থাকো!
–হুম, যাও যাও,থাকতে হবে না তোমাকে। বুঝেনেবার দায় তো শুধু আমার একার পড়েছে, তোমার চোখের পানি, মনের কথা সব আমি বুঝেনিবো। কিন্তু তুমি আমাকে নাবুঝলেও চলবে তাইনা?
–বুঝেছিলাম তো, তোমার মন, ভালোবাসা, সবি বুঝেছিলাম। কিন্তু আজ তো দেখছি সবকিছুই ভুল ছিল!
–হুম ভুল! তুমি কি জানো আমার সুখ কিসে? আমার ভালো থাকা কিসে? আমার মন কি চায়?
–এখন আর এইগুলো জেনে কি লাভ, তুমি তো এখন আমার থেকে অনেক সুন্দর আর ভালো কারো হাত ধরছো।
–হা: হা: হা: হা:
–হাসছো কেন?
–তুমি জানতে চাচ্ছিলেনা, আমার বিয়ে কবে? আজ! আজকেই আমি তোমাকে বিয়ে করবো, চলো।
–মানে কি?
–মানে কিছু না। গাঁধা একটা! তুমি জানোনা, আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবোনা?
–তাহলে এতোক্ষণ এই নাটক করলে কেন? আমার কি কষ্ট লাগেনা!
–এমনি, আজ থেকেই শুরু করলাম, এখন থেকে তো প্রতিদিন তোমাকে জ্বালাবো আবার অনেক ভালোও বাসবো!
–তাহলে আমাকে বিদায় দিতে আসছো, এই কথা বললে কেন?
–সত্যিই তো আজ আমি আমার বয়ফ্রেইন্ড একেবারে বিদায় জানাবো। কাল থেকে তো তুমি আমার বর হয়ে যাবে!
–আর আমি যদি তোমাকে বিয়ে নাকরি।
–তাহলে তমার গলা টিপে দিবো! আমি জানি, আমার মতো তুমিও আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না।
–এতক্ষন সত্যি অনেক কষ্ট পারছিলাম কিন্তু।
–সরি গো! তোমার হাতটা একটু ধরতে পারি?
–আমি কি না করেছি?
–আমাকে কখনো ছেরে যাবেনা তো?
–আমি আমার নিজেকে ছেরে যাবো কিকরে বলো?
—ভীষণ ভালোবাসি তোমায়!
–আমিও, অনেক রে পাগলী!